অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘হাঙ্গেরি বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলার মধ্যেই তারা এখনো ইউক্রেনকে দ্বীপক্ষীয় ভিত্তিতে সামরিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে সামরিক সহযোগিতা দেয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না বুদাপেস্ট।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজার্তো গতকাল এক সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি বলেন, অনেক দেশের চেয়ে প্রতিবেশী হিসেবে ইউক্রেনকে বেশি সাহায্য সহযোগিতা করেছে তার দেশ কিন্তু হঠাৎ করে কোনো কোনো দেশ এখন কিয়েভের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হয়ে গেছে।
হাঙ্গেরির এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে সিজ্জার্তো বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলার সময় তার দেশ যৌথভাবে তহবিল সংগ্রহ করার বিষয়টি সমর্থন করেছিল এবং সেটিই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু হাঙ্গেরি এখনো করোনা মহামারী মোকাবেলার সেই তহবিলের অংশ পায়নি। করোনা তহবিল সংগ্রহের ব্যাপারে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা আইনের বিভিন্ন ধারা উপধারার কারণে সবার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেনি- এমন অজুহাতে বুদাপেস্টের তহবিল সরবরাহ স্থগিত রেখেছে।
গত মাসে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ব্রাসেলস আমাদেরকে শাস্তি দিচ্ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থের ব্যাপারে আমাদেরকে প্রকাশ্যে প্রতারণা করেছে।”
চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলস ২০২৩ সালের জন্য ইউক্রেনকে ১,৮০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে। রোববার টেলিফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে একথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন্ডার লিয়েন।
ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের একমাত্র সদস্য হাঙ্গেরি অস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার দেশের ভূখণ্ড দিয়ে ইউক্রেনে কোনো অস্ত্রের চালান যেতে দেননি। পাশাপাশি তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানি অবরোধ আরোপের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর বিপরীতে তিনি সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply